রাত ১টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, অসুস্থ রিজভীকে দেখতে খালেদা জিয়া রাত সাড়ে ১১টার দিকে গুলশান কার্যালয় থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশ গুলশানের কার্যালয় ঘিরে রাখে।
শিমুল বিশ্বাস আরো জানান, পরে খালেদা জিয়া বাসায় যেতে চাইলেও পুলিশ নিষেধ করে। কিন্তু এরই মধ্যে খালেদা জিয়া কার্যালয়ের দোতলা থেকে নিচে নেমে এসে গাড়িতে আধাঘণ্টা বসে থাকলেও পুলিশ গাড়িবের হতে দেয়নি। পরে খালেদা জিয়া আবার কার্যালয়ে ফিরে যান।
রাত দেড়টার দিকে খালেদা জিয়ার গৃহপরিচারিকা তাঁর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দুটি লাগেজ নিয়ে গুলশান কার্যালয়ে প্রবেশ করে। খালেদা রাতে কার্যালয়েই অবস্থান নিয়ে থাকবেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
রাত ২টার দিকে সেলিমা রহমান, সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া, রেহানা আক্তার রানু, রাশেদা আক্তার হীরা, নিলুফার আক্তার মনিসহ মহিলা দলের কয়েকজন নেত্রী গুলশান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা বলেন, দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। থাকলে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে এভাবে বাধা দেওয়া হতো না। তাঁরা জানান, যত কিছুই করা হোক ৫ জানুয়ারির সমাবেশ হবেই। সর্বশেষ রাত ২টার দিকে এক প্লাটুন মহিলা পুলিশসহ চার-পাঁচ প্লাটুন পুলিশ খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় ঘিরে রাখতে দেখা গেছে। বাসায় যাওয়ার পথটি ছাড়া গুলশান কার্যালয় থেকে অন্য কোথাও বের হওয়ার সবগুলো রাস্তা পুলিশের গাড়ি রেখে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের গুলশান জোনের উপকমিশনার লুত্ফুল কবীর বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অফিস ও বাসভবন এলাকায় এমনিতেই বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়। তবে ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে গত রাতে আরো বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। এটা রুটিন ওয়ার্ক।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে বিএনপি কৌশল নিয়েছিল। রিজভীকে দেখার নাম করে খালেদা জিয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নিয়ে থাকবেন এমন খবর ছিল তাদের হাতে। এ কারণেই খালেদা জিয়াকে যেতে দেওয়া হয়নি। -